খোলা ও পোড়া মোবিল (ইঞ্জিন ওয়েল) ব্রান্ড এর সিল মারা কনটেইনারে ঢুকিয়ে স্টিকার লাগিয়ে অবিকল আসল ব্রান্ডের মোবিল বলে চালিয়ে দিচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। আজ ( ২৫ এপ্রিল, ২০১৮) ফেনী শহরের সালাউদ্দিন মোড়ে এমন তথ্যের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন, ফেনী।
এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা। এ সময় শহরের সালাউদ্দিন মোড়ের ডা: শাহজাহান মার্কেট এর আনোয়ার লুব্রিকেন্টের ঘরের পেছনে গিয়ে দেখা যায় সরাসরি খোলা ও মানহীন মোবিল ব্রান্ডের কনটেইনারে ঢুকানো হচ্ছে। ক্যাস্ট্রোল একটিভ, শারজাহ ইন্টারন্যাশনাল এর শারলু আল্ট্রা সুপার, এক্সন মোবিল এর মোবিল স্পেশাল, মিডল ইস্ট লুব্রিকেন্ট এর সুপার ভি, টোটাল ওয়েল এর টোটাল কোয়ার্টজ এর অনেকগুলো খোলা কনটেইনার কার্টুনে ভরা অবস্থায় পাওয়া যায় ঐ প্রতিষ্ঠানে। আরো পাওয়া যায় কনটেইনারের মুখে লাগানো ব্রান্ডের নামে নকল স্টিকার। এসকল স্টিকার ঘরে থাকা চুলায় একটু পুড়িয়ে সরাসরি লাগানো হচ্ছিল কনটেইনারে। ফলে আসল আর নকলের পার্থক্য করা মুশকিল। খোলা মোবিল কনটেইনারে ঢুকানোর পর আসল মোবিলের রঙ আনয়নের জন্য ব্যবহৃত হয় কৃত্রিম রঙ।
পণ্যের নকল প্রস্তুত করার অপরাধে আদালত আনোয়ার লুব্রিক্যান্ট এর মালিক মো: আনোয়ার হোসেনকে ১,২০,০০০/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করে। জব্দ করা হয় ১৮১টি কয়েক ব্রান্ডের খালি কনটেইনার, ৫৬ টি নকল মোবিলযুক্ত কনটেইনার, ব্যবহৃত রঙ ও স্টিকার।
জিজ্ঞাসাবাদে আনোয়ার জানান, ব্রান্ডের মোবিলের দাম ৪১০-৪২০। এসব নকল মোবিলও সহজ সরল লোককে বুঝিয়ে প্রায় একই দামে অথবা সামান্য ডিসকাউন্টে বিক্রি করা হয়। অভিযানে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সুজন বড়ুয়া ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।