নিজস্ব প্রতিবেদক > সোনাগাজীর কাজীর হাটে স্লুইচ গেইটে ঘুরতে আসা গৃহবধূকে দিন-দুপুরে ধর্ষণ করেছে ২ যুবলীগ নেতা । এ ঘটনায় চর সাহাভিখারী ওয়ার্ড় যুবলীগের সভাপতি আবদুল কাউয়ুম(২৬) ও যুবলীগ কর্মী এমরানকে রাতে পুলিশ আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালীর বসুরহাট এলাকার এক প্রবাসীর গৃহবধূ(২৫) তার ভাইকে নিয়ে সোনাগাজী উপজেলার ছোট ফেনী নদীর কাজীরহাট স্লুইচ গেইট এলাকায় নৌকা ভ্রমণে আসেন। এ সময় স্থানীয় যুবলীগের কর্মীরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্লুইচ গেট এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রের জামালের ঘরে ভাইকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। পরে এক ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও নগদ ৬ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয় তারা।
বিকাল ৩টায় স্থানীয়রা ইউপি মেম্বার টিপনকে বিষয়টি জানালে তার সহযোগিতায় গৃহবধূ ও তার ভাইকে তাদের আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়। মেম্বার টিপন বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে আহত স্বামীর কাছে ঘটনা শুনে তাদের সোনাগাজী থানায় পাঠিয়ে দেন।
রাতে ভাই বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা কাউয়ুম ও এমরানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। লোকলজ্জার কারণে ওই স্বামী তার স্ত্রীর ধর্ষণের বিষয়টি প্রথমে এড়িয়ে যান পরে স্বীকার করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান ও সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ভুট্টু জানান, রাসেল ও এমরান এরই মধ্যে এ এলাকায় ঘুরতে আসা অনেক নারীর শ্লীলতাহানিসহ নানা ঘটনা ঘটিয়েছে। জেলা যুবলীগের এক শীর্ষ নেতার কারণে তাদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ।
সোনাগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হুমায়ুন কবির জানান, রাতেই যুবলীগ নেতা -কর্মী দু-জনকে পুলিশ আটক করেছে । সরকার দলীয় ছত্রছায়ায় তারা দীর্ঘদিন একাজ করেছে বলে অভিযোগ আছে ।