নিজস্ব প্রতিনিধি : সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মো: ফয়সাল নামের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রের মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে শিক্ষক।আজ মঙ্গলবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। ছাত্রের পিতা মো: ওমর ফারুক আলোকিত সোনাগাজীকে বলেন, আমার ছেলের চুল বড় হয়েছে এই অভিযোগে মাথা ন্যাড়া করার অধিকার মাদ্রাসাকে কে দিয়েছে? ৭ বছর বয়সী একটা মাছুম বাচ্চার সাথে তার এই আচরণ করতেই পারেনা। আমাকে বললে আমি ছোট করে দিতাম।আমি এ ব্যাপারে মাদ্রাসা শিক্ষকের সাথে কথা বলতে গেলে শিক্ষকরা আমাকে মারতে আসেন।এই কাজটি করে আমার ছেলেকে সবার কাছে অপমানিত করেছে আমি প্রশাসনের নিকট এর বিচার চাই। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি রহিমিল্লাহ কাসেমী বলেন, মাদ্রাসায় নিয়ম আছে চুল বড় হলে কেটে দেয়ার, ছাত্রের চুল কাটতে গিয়ে যোহরের নামাজের আযান দেয়ার কারনে সব চুল কাটা সম্বব হয়নি। এরপর ছেলেটি বাড়ি গেলে তার অভিভাবক ভুল বুঝে কিছু দুস্কৃতিকারীর সহযোগিতায় মাদ্রাসার বদনাম করতেছে।মাদ্রাসার কোন শিক্ষক অভিভাবকের সাথে খারাপ ব্যবহার করেনি। গুনক এলাকার আব্দুল আউয়াল নামে একজন প্রাইমারী স্কুল শিক্ষক জানান, চুল কাটার জন্য নাপিত আছে, শিক্ষক এভাবে কাটার কি দরকার।মাথা পুরা ন্যাড়া না করে অর্ধেক করলেন কেন? এটা কি ধরনের শাস্তি। বগাদানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: ইসহাক খোকন বলেন, আমি বিষয়টি মাত্র শুনলাম, খতিয়ে দেখতাছি। বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সোনাগাজী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: আল মমিন বলেন, শিক্ষকদের কাছ থেকে এই ধরনের কাজ আশা করিনা।মাথা ন্যাড়া করে অন্যায় করেছেন। সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।তিনি বলেন শিক্ষক জাতির কাছে এই ধরনের ঘটনা অনা-কাংখিত।