নিজস্ব প্রতিনিধি>> ফেনীর গৃহকর্মী আমেনার শরীরের পিছনের অংশ পুড়িছে আফরোজার মেয়ে লাভলী । মঙ্গল বিকালে পুলিশকে জানিয়েছে আটকৃত গৃহকর্তী আফরোজা ।
আফরোজা পুলিশকে আরো জানায়, গত বছরের মাঝমাঝিতে শিশু আমেনা আক্তারের ফুফু ফুল জাহান বেগম টুনি অভিভাবকহীন তার ভাতিজি আমেনাকে কাজ করার জন্য ফেনী শহরের একাডেমির এলাকার নুরিয়া মসজিদের পেছনে আফরোজা ম্যানসনে দিয়েছিলো। এর কিছুদিন পর গৃহকর্তী আফরোজা ঢাকায় তার মেয়ে লাভলীর বাসায় শিশু আমেনাকে পাঠিয়ে দেয়। অমানুষিক কাজ ও শারীরিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে শিশুটির শরীরের পিছনের অংশে চুলার আগুন দিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে অসুস্থ্য আমেনাকে গৃহকর্তী লাভলী তার মা আফরোজার ফেনী বাসায় পাঠিয়ে দেয়। কিছুদিন ওই বাসায় থাকার পর আফরোজা শিশু আমেনাকে রাতের অন্ধকারে ঘর থেকে বের করে দেয়।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের বাজার এলাকা থেকে আফরোজা বেগমকে আটক করা হয়।
ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম জাহাঙ্গির আলম সরকার জানান, রোববার রাতে নির্যাতিত শিশু আমেনা আক্তারের ফুফু ফুল জাহান বেগম টুনি বাদি হয়ে আফরোজাকে আসামী করে ফেনী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
রোববার রাত থেকে পুলিশের একাধিক টিম আফরোজা বেগমকে গ্রেপ্তার করতে ফেনীর জেলার বিভিন্ন স্থানে ও ঢাকায় তার মেয়ে লাভলীর বাসায় অভিযান চালায়। ঢাকায় আফরোজার মেয়ে লাভলীর তথ্য অনুযায়ী পুলিশ ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নে অভিযান চালায়।
মঙ্গলবার ভোরে আফরোজা বেগম ধলিয়া বাজার হয়ে অনত্র পালিয়ে যচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
ফেনী জেলা সদর হাসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অসীম কুমার সাহা জানান, ১০ বছরের দগ্ধ শিশু আমেনা রোববার দুপুর থেকে ফেনী জেলা সদর হাসপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গৃহকর্তীর নিষ্ঠুর নির্যাতনে ঝলসে গেছে শিশুটির পিঠ থেকে নিম্মাঙ্গ। আগুনে শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষত স্থানে পচন ধরেছে। হাসপাতাল থেকে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
সৌরভ পাটোয়ারী
০১৯১১২৭৯৪৭৫