ফেনী -৩ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব রহিম উল্যাহর বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে মাছ চুরির অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
এ ব্যাপারে শনিবার (০৮জুন) সন্ধ্যায় সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন মো: মহিউদ্দিন নামের এক মাছ ব্যবসায়ী। পুলিশ ও স্থানীয়দেের সাথে কথা বলে জানা নায়, উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের ছিদ্দিক আহম্মদের ছেলে মো. মহি উদ্দিন, আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের ফয়েজ আহম্মদের ছেলে মো. শেখ ফরিদ ও চরচান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চরচান্দিয়া গ্রামের মো. মোশাররফ হোসেন ইজারা নিয়ে মহুরী প্রকল্প একায় চৌধুরী ফিসারীতে মাছ চাষ করে আসছে। তারা মাছ ধরার জন্য গত কয়েক দিন থেকে মৎস্য প্রকল্পে পানি সেচ দিয়া আসছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব রহিম উল্যাহর উপস্থিতিতে তার নির্দেশে স্থানীয় জেলে মোশাররফের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্ত বেড় দিয়ে তাদের প্রকল্প থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের প্রায় ২০০ মণ মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এসময় মৎস্য খামারে উপস্থিত মো. শেখ ফরিদ ও তার ভাই আক্তার হোসেন বাধা দিলে সাংসদ রহিম উল্যাহ তার হাতে থাকা টর্চ লাইট দিয়ে পিটিয়ে তাদেরকে আহত করে। তাদেরকে এ মৎস্য খামারে মাছ চাষ করতে নিষেধ করে এবং মাছ চাষ করলে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে মৎস্য খামার মালিক মো. মহি উদ্দিন বাদি হয়ে শনিবার বিকালে সাংসদ রহিম উল্যাহ, জেলে মোশাররফ হোসেন ও অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে সাংসদ রহিম উল্যাহ'র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি তাদের পাশের প্রকল্প 'রহিম ফিসারিজের' মালিক। আমার খামারের পাড় ভেঙ্গে সব মাছ তাদের খামারে চলে যায়। আমি তাদের মাছ লুট করেনি।
জাল ফেলে মাছ গেছে কিনা দেখেছি। দেখে আবার তাদের খামারে ছেড়ে দিয়েছি। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. হুমায়ূন কবির অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এদিকে স্থানীয় লোকজন জানান,এমপি রহিম উল্লাহ তার সমর্থকদের দিয়ে এলাকায় লুটপাট চালান নিয়মিত। তার অনুসারীরা এলাকার চুরি ডাকাতির সাথে জড়িত।