ডা. তাসমিয়া কবির দোলা : বেশ কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছে, দেশে চিকনগুনিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু অনেকেরই খুব একটা ভালো ধারণা নেই রোগটি সম্পর্কে। চিকনগুনিয়া এক ধরনের ভাইরাস জ্বর। মশার মাধ্যমে দ্রুত ছড়াচ্ছে এই রোগ। মূলত এডিস মশার কামড় থেকে এই রোগ কোনো ব্যক্তি একবার চিকনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হলে পরবর্তীতে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। যেহেতু এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে সেহেতু আপনাকে সচেতন হতে হবে। জানতে হবে এর কারণ ও প্রতিকার। মনে রাখতে হবে, চিকনগুনিয়া মরণঘাতী নয়। সুতরাং ভয়ের কারণ নেই।রোগের লক্ষণ হলো, রোগীর প্রচণ্ড জ্বর হবে, ১০৪ থেকে ১০৫ ডিগ্রি কিংবা তারও বেশি তাপমাত্রা হতে পারে। অসহনীয় মাথাব্যথা এবং বমি বমি ভাব হতে পারে। শরীরের গিটে গিটে ব্যথা হবে। শরীরে র্যাশ উঠবে। জ্বর ২ থেকে ৩ দিনের ভেতর কমে যাবে কিন্তু এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত শরীর ও গিরায় ব্যথা থাকতে পারে।চিকনগুনিয়ার কোনো ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল খেতে হবে। প্রচুর পানি, শরবত, ওরস্যালাইন, ডাবের পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। এবং অবশ্যই রোগটি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। অনুসরণ করতে হবে তার দেয়া ব্যবস্থাপত্র।
মশাবাহিত রোগ হওয়ায় খুব সহজেই চিকনগুনিয়া প্রতিরোধ করা যায়। এডিস মশা দিনে কামড়ায়, তাই দিনের বেলা সতর্ক থাকুন। এ সময় ঘুমালে মশারি ব্যবহার করুন। মশার বংশ বিস্তার এড়াতে ঘর বা আশপাশে পানি জমিয়ে রাখবেন না।