লোকমান বিএসসিঃ চির নিদ্রায় শায়িত হলেন ফুলগাজী'র কৃতিসন্তান গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ফখরুল ইসলাম ভূঁঞা মানিক ৩০ জুন সকাল ১১টায় আলী আজম স্কুল & কলেজ মাঠে মরহুমের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম, পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, ফেনী জেলা মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, ফেনী জেলা গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের আহবায়ক এড শহিদুল্লাহ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অনুভূতি প্রকাশ করেন । ফুলগাজী উপজেলার ছয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ যথাক্রমে হারুন মজুমদার( আনন্দপুর), মুজিবুল হক ( জি এম হাট), নুরুল আমিন ( মুন্সীরহাট) , নিজাম উদ্দিন মজুমদার( দরবারপুর) , নুরুল ইসলাম, ( ফুলগাজী) ও জনাব মীর হোসেন ( আমজাদহাট)। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সহ সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জনাব মীর আব্দুল হান্নান সহ স্হানীয় মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। জানাযায় ইমামতি করেন ঐতিহ্যবাহী ঘাটঘর মাদ্রাসার মোহতামিম হযরত মাওলানা মুফতি নুরুল ইসলাম। এসময় রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, জনপ্রতিনিধি, আলেমসমাজ সহ প্রায় দেড় হাজার মুসল্লীর উপস্থিতিতে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাপন করা হয়। গার্ড অব অর্নার প্রদান করে গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বেলায়েত উল্লাহ ও তার দল। উল্লেখ্য, ফখরুল ইসলাম মানিক ছিলেন নিঃসন্তান, তিনি বেশ ক'দিন যাবত দুরারোগ্য রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ২ভাই, অসংখ্য আত্নীয়- স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি ২৯ জুন ঢাকা পপুলার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৯৫২ সালে মুন্সীরহাটের দঃশ্রীপুর ভূঁইয়া বাড়ীর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জম্নগ্রহন করেন। তার পিতা ছিলেন, মরহুম আব্দুল গণী মাষ্টার। ১৯৬৯ সালে আলী আজম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি. ও পরবর্তিতে ফেনী সরকারী কলেজ থেকে পড়ালেখা শেষ করেন, ছাত্র জীবনেই তিনি প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। '৭১ এর মুক্তিযুদ্ধকালীন তিনি গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এছাড়াও '৭০ এর দশক থেকে ২০০২ইং পর্যন্ত ৩ বার ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। আগামী ৩ জুলাই ফেনীর মুক্ত বাজারে গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের আয়োজনে এক শোক সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়।