গ্রুপ এ থেকে আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের। অপেক্ষায় ছিল কে হচ্ছে সেমিতে তাদের প্রতিপক্ষ। কাল তাও ঠিক হয়ে গেলো চোকার্স দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সেমিতে জায়গা করে নিয়েছে ভারতও। যে সেমিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত।
১৫ জুন বার্মিংহ্যামের এজবাস্টন স্টেডিয়ামে বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি। সেই ম্যাচকে সামনে রেখে কলকাতাভিত্তিক একটি পত্রিকা সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এখানে তা প্রকাশ করা হলো:
"ফের বার্মিংহ্যাম। সেই এজবাস্টন স্টেডিয়াম। ভারতের পাকিস্তানকে হারানোর স্মৃতি এখনো টাটকা। সেই স্মৃতি টাটকা থাকতে থাকতেই এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে লড়াই দুই প্রতিবেশী দেশের— ভারত বনাম বাংলাদেশ। এমনিতে শক্তির বিচারে ভারতের ধারে কাছে আসে না বাংলাদেশ। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং— সবকিছুতেই ভারত এগিয়ে। তবে বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিলে ভুগতে হবে ভারতকে।
নিউজিল্যান্ডকে কিছুদিন আগেই খাদের কিনারা থেকে হারিয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লার জুটি এখন বিশ্ব ক্রিকেটেরই সমীহ আদায় করে নিয়েছে। পাশাপাশি ওপেনার তামিম ইকবালও স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড— দুই দলের বিরুদ্ধেই রান পেয়েছেন তিনি। তবে একথা মানতেই হবে যে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বৃষ্টির আনুকুল্য না পেলে হয়তো শেষ চারের মুখ দেখা হতো না বাংলাদেশের। যাই হোক, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এখন থেকেই ভারতকে হারানোর ছক কষতে শুরু করে দিয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে সাময়িক পা হড়কানো বাদ দিলে এখন পর্যন্ত ভারত কিন্তু চলতি টুর্নামেন্টে নিখুঁত ক্রিকেট উপহার দিয়েছে। ব্যাটিং হোক বা বোলিং— ভারতীয়রা প্রতি মুহূর্তেই নিজেদের প্রমাণ করে দিচ্ছেন। উঠতি তারকা হিসেবে হার্দিক পাণ্ডিয়া, জসপ্রীত বুমরাহরাও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে। কোনো সন্দেহ নেই, বিরাট কোনো অঘটন না ঘটলে ১৫ তারিখে বাংলাদেশকে হারাতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয় বিরাট বাহিনীর।"
এদিকে ভারতের ধারাভাষ্যকার হার্সা ভোগলে টুইট করেছেন, "অবশেষে ভারত সেমিফাইনালে। বাংলাদেশ অপেক্ষা করছে পুরোপুরি একতরফা, আমি ভীত"