
গোলের জন্য হাপিত্যেশ চলছিল দুই দলেরই। আবাহনী কোচ দ্রাগো মামিচ ৫৮ মিনিটে ল্যান্ডিং দারবোয়ের বদলি হিসেবে মাঠে নামালেন এমেকা ডার্লিংটনকে। মুহূর্তেই আক্রমণের ধার বেড়ে গেল আবাহনীর। সাত মিনিট পর ফলও পেয়েছে আকাশি নীল দলটি, এমেকার চমৎকার গোলে আবাহনী গ্যালারিতে তখন তুমুল উল্লাস। শেষ পর্যন্ত এমেকার এই গোলটিই হয়ে রইল ম্যাচের ফল নিষ্পত্তিসূচক একমাত্র গোল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আজ ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে আবাহনী ১-০ গোলে হারিয়েছে শেখ জামালকে।
এই জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠল টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আজকের জয়ে সব মিলিয়ে ১৭বার ফাইনালে উঠল আকাশি নীল দলটি। আগামী ৬ জুন ঢাকা আবাহনীর প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম আবাহনী।
গত ৩১ মে এএফসি কাপের শেষ ম্যাচে মোহনবাগানের কাছে জিততে জিততেও ড্র করে আবাহনী। কিন্তু ওই ড্রতেই যেন খুঁজে পেয়েছিল আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া। মাঠেও সেই পারফরম্যান্স দেখা গেছে ফুটবলারদের।
ম্যাচে শেখ জামালের চেয়ে আবাহনীই গোলের সুযোগ পেয়েছে বেশি। অবশ্য ৫৬ মিনিটে শেখ জামালের মোমোদু বক্সের মধ্যে বল পেয়েও মারলেন বাইরে! এরপর ৬৫ মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে নেন এমেকা। বক্সের মধ্যে জটলায় পাওয়া বল প্রথম চেষ্টায় মারার চেষ্টা করেন নাবিব নেওয়াজ জীবন। কিন্তু শেখ জামালের গোলরক্ষক সামিউল ইসলামের গায়ে লেগে বেরিয়ে আসে বল। ফিরতি শটে এমেকা জালে পাঠান (১-০)।
৭৯ মিনিটে গোল শোধের সহজ সুযোগ পেয়েও নষ্ট করেন শেখ জামালের ইয়াসিন খান। আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেলকে সামনে পেয়েও বল পাঠালেন বাইরে। আর ৮৩ মিনিটে আবাহনীর ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবনও বক্সে ঢুকে বল তুলে দেন শেখ জামাল গোলরক্ষক সামিউল ইসলামের হাতে। বাকি সময়েও চেষ্টা করে আর কোনো দল গোল করতে পারেনি।