ফেনী প্রতিনিধি, ১৫ জানুয়ারী: ফেনীর ফুলগাজীর স্কুলছাত্রী অপহরণের পর ২০ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের ঘটনায় সহায়তাকারী নারী নার্গিস আক্তারকে বুধবার গভীররাতে ছাগলনাইয়ার পুলিশ রাতে আটক করেছে।
আটক নার্গিস আকতার ফেনী সদর উপজেলার উত্তর কাশিমপুর গ্রামের শাহ আলমের স্ত্রী। আটকের পর স্কুলছাত্রীর মুখোমুখি করা হলে নার্গিস ঘটনা স্বীকার করেন।
গত ১৪ ডিসেম্বর পরীক্ষা শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে ওই ইউনিয়নের ফেনাপুষ্করিণী গ্রামের মৃত জমিদার মিয়ার ছেলে আবুল বশর, ছাগলনাইয়া উপজেলার পশ্চিম দেবপুর গ্রামের মৃত চবু মিয়া বলির ছেলে ছোট্টু মিয়াসহ অন্যরা মাইক্রোবাসে ছাত্রীকে তুলে এনে ছাগলনাইয়া পৌরসভার জমদ্দার
বাজারের পাটোয়ারী প্লাজায় নার্গিসের কথিত থেরাপি সেন্টারে নিয়ে আসে। এরপর অপহৃতার মায়ের কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। উপায়উন্তু না দেখে মা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা পাঠান। এরপরও নার্গিসের সহযোগিতায় অপহরণকারীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয় স্কুলছাত্রী। নার্গিস নেশাদ্রব্য খাইয়ে তাকে অচেতন করে রাখতেন। এভাবে ১৫ দিন ধরে বশর বাহিনী ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে অচেতন অবস্থায় গত ২ জানুয়ারি স্কুলছাত্রীকে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। মসজিদের সামনে ফেলে রাখা হয়েছে বলে অপহরণকারীরা মেয়েটির ভগ্নিপতিকে ফোন করে জানায়। উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে মেয়েটির স্বজনরা।
মেয়েটির মা বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ফুলগাজী থানায় ৫ জানুয়ারি মামলা করেন। ফুলগাজী থানার ওসি মঈন উদ্দিন আহম্মদ গতকাল বৃহ¯পতিবার সমকালকে বলেন, অপহরণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা করায় নার্গিসকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিদের আটকে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।