কাতার প্রবাসী টিপু পাটোয়ারী পিতা আহম্মেদ করিম পাটোয়ারী সাং গোবিন্দপুর উপজেলা/থানা ফেনী সদর ফেনী দির্ঘ্যদিন যাবত কাতারে বেসকারী একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।তিনি যে বাসায় ভাড়া থাকতেন তার অপর পাশের প্লেটে ভাড়া থাকতেন শহিদুল সুমন নামক আরেক প্রবাসী বাঙ্গালী।একই বাসায় থাকা সূত্রে তাদের মধ্যে একটি সুসম্পর্ক তৈরি হয় ফলে বিভিন্ন সময়ে একে অপরের সহযোগীতা গ্রহন করতেন।শহীদুল সুমন দেশে টাকা পাঠাবে তাই আগ বাড়িয়ে সহযোগীতা করতে চেয়ে টিপু পাটোয়ারী বলেন দেশে টাকা আমার মাধ্যমে পাঠাতে পারেন আমি কিছু মানুষের কাছে টাকা পাব তারা আপনার পরিবারের নিকট টাকা পৌছে দিবে মর্মে প্রস্তাব রাখলে শহীদুল সুমন তাতে রাজি হন।তখন টিপু পাটোয়ারী জানতে চান দেশে কারো কোন ব্যাংক একাউন্ট আছে কিনা তখন শহীদুল সুমন তার নিজ খালাত ভাই মোস্তাক আহমেদ পিতা নূর নবী সাং অলিপুর থানা ফেনী সদর ফেনীর ব্যাক্তিগত ব্যাংকের হিসাব নং ১৮০২২০৩৪৪৭১৪৩০০১ একান্ট নাম্বারটি প্রদান করেন এবং উক্ত একাউন্টে টিপু পাটোয়ারীর নিযুক্ত লোকের মাধ্যমে ঐ একাউন্টে ৪ মে ২০১৬ ইং তারিখে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং ২২ মে ১০১৬ ইং ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা সহ মোট ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা মাদারপুর হইতে মোস্তফা হোসেন পিতা আমজাদ হোসেন সাং কফিলউদ্দিন বেপারী কান্দি থানা শিবচর জেলা মাদারিপুরের মাধ্যমে টাকা প্রেরণ করেন।শহীদুল সুমনের নিজ খালাত ভাই মোস্তাক আহমেদ উক্ত টাকা ব্যাংক একাউন্টে আসার সত্যতা নিশ্চিত করিলে শহীদুল সুমন টিপু পাটোয়ারীকে টাকা পরিশোধ করেন কাতারে।ঘটনার ৭ মাস অতিবাহিত হবার পর মোস্তাক আহমেদ পিতা নূর নবী সাং অলিপুর ফেনী সদর ফেনী সহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে শিবচর থানা থেকে মামলা নং ২২/২০১৬ ইং ৪০৬/৪২০ ধারা মতে মোস্তফা হোসেন পিতা আমজাদ হোসেন সাং কফিলউদ্দিন কান্দি থানা শিবচর জেলা মাদারিপুর একটি মামলা আনোয়ন করেন।মামলার বিবরণিতে বলা হয়েছে মোস্তাক আহমেদ তাহার নিকট হইতে পর পর দুটি তারিখে মোট ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা গ্রহন করিয়া অস্বীকার করিয়াছেন।মূল আসামী টিপুর কথা মত মোস্তফা হোসেন এই টাকা ভিসা বাবত প্রদান করেন।কিন্তু বিদেশ না নিয়া টিপু তাহার সাথে প্রতারনা করেন এবং প্রতারনার সূত্রধরে তিনি যে সব ব্যাংক একাউন্টে টাকা প্রেরণ করেছেন সে সব একাউন্টের খোঁজ খবর নিয়ে মামালা দায়ের করেন শিবচর থানায়।উক্ত মামলা আনোয়নের পর মোস্তাক আহমেদ বিষয়টি কাতার প্রবাসী তাহার খালাত ভাই শহীদুল সুমনকে জানালে ততক্ষনে কাতার থেকে প্রতারক টিপু পাটোয়ারী পালিয়ে যান।ফলে বিষয়টি সুরাহা করতে পারেননি কাতার প্রবাসী শহীদুল সুমন।এদিকে মামলা আনোয়ন হবার পর থেকে পুলিশ মোস্তাক আহমেদ কে গ্রেফতার করার জন্য খুঁজিলে সে পালাইয়া বেড়াতে লাগে।টিপু পাটোয়ারীর বাড়িতে গিয়ে এর সমাধানের জন্য স্থানীয়দের নিয়ে গেলে জানা যায় টিপু পাটোয়ারীর বাবা ও এক ভাইকে এই মামলায় আসামি করা হয় এবং সে মামলায় টিপু পাটোয়ারীর পিতা আহমেদ করিম পাটোয়ারীকে শিবচর থানার পুলিশ গ্রেফতার করিয়া নিয়া যায় এবং তিনি সেখান থেকে আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্ত হয়ে আসেন।টিপু পাটোয়ারীর পিতা আহমেদ করিম পাটোয়ারী স্থানীয়দের জানান আমি আমার পুত্রের প্রতারনার ঘটনা জেনেছি,সে দির্ঘ্যদিন যাবৎ পরিবারের কোন খোঁজ খবর নেয়নি,এবং তার মায়ের মৃত্যুতেও সে দেশে আসেনি এবং তার প্রতারনার ঘটনায় আমাকে আসামী করে জেল হাজতেও পাঠিয়েছি তাই আমি এবং আমার পরিবারের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই আমি তাকে ত্যাজ্যপুত্র বলে গন্য করি।উপরোক্ত ঘটনা শুনে মোস্তাকের পরিবার ভুগছেন বিষন্নতায়।আবার কবে পুলিশ আসবে এই ভয়ে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়ে পলাতক ভাবে জীবন বয়ে বেড়াচ্ছে।সে স্থানীয় মেম্বার সহ গন্যমান্যদের সহযোগীতা চেয়ে এমন বিপদ থেকে রক্ষা চেয়ে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।এদিকে মামলার বাদি জানতে পেরেছেন যাদের একাউন্টে টাকা গেছে তারা নিরঅপরাধ কিন্তু মামলার মূল আসামী টিপু পাটোয়ারী ধরা না পড়া পর্যন্ত এই মামলাও তুলে নেয়াও সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন।উল্ল্যেখ্য মোস্তফা হোসেন আসামী টিপুর বিরুদ্ধে মোট ১২ লক্ষ টাকা প্রতারনার মামলা করেন।
নায়িকা দীঘির বিরুদ্ধে কোটি টাকার মামলা করবেন
স্বনামধন্য নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত মুক্তি প্রতীক্ষিত ছবি ‘তুমি আছো তুমি নেই’র পোস্ ...বিস্তারিত