
নাম তার মীকরাইল হোসেন (জনি)।
বয়স ২৯ বছর । রাজশাহী থেকে
এলাকার কিছু পরিচিতদের সাথে
১৬ জানুয়ারি ২০২০ সালে গাজীপুরের টঙ্গী ইজতেমায় আসে।
১৯ জানুয়ারি ইজতেমা শেষে
বাড়ী ফেরার পথে পথ হারিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ঢাকা থেকে কুমিল্লা পার হয়ে ফেনী চলে আসে। এর মাঝে চলে যায় ৯টি মাস ,মানুষের কাছে হাত পেতে অর্থ সংগ্রহ করে তা দিয়ে খাবারের চাহিদা মেটাতো সে। কিছু দিন সে রাস্তায় ফেলে রাখা কাগজ,বোতল কুড়িয়ে তা বিক্রি করে সেই অর্থ দিয়ে খাবার কিনে খেতো। ২৮ পারা কোরআনে হাফেজ এই জনির একটি ৭ বছর বয়সের মালা নামে একটি কন্যা সন্তান,স্ত্রীসহ রাজশাহীর বাগমারার তাহের পুর পৌরসভার চকিরপাড়ায়
পিতা ইদ্রিস আলী ও মাতা সুবেদা খাতুন সহ জনির বসবাস।
গত ১৯ জানুয়ারি নিখোঁজ হওয়ার পরে গাজীপুর টঙ্গী পশ্চিম থানায় তার চাচাত ভাই রনি বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করে । এর পরে তার স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে জনিকে খুঁজে বেরিয়েছেন । গত ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে ফেনী শহরের লালপুল এলাকায় একজন মানসিক প্রতিবন্ধীর অতর্কিত হামলার
আঘাতে জনি আহত হলে ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অজ্ঞাত পরিচয়ে ভর্তি করায় ,এর পর ফেনীর স্বেচ্ছাসেবী মানবিক ও সামাজিক সংগঠন "সহায়"এর তত্ত্বাবধানে মুমূর্ষু অবস্থায় থাকা জনির চিকিৎসা ও পরিচর্যা শুরু হয় ।একই সাথে " সহায়" সংগঠনের পক্ষ থেকে জনির ছবি ও তার দেওয়া অগোছালো কিছু তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হয়। একই সাথে সংগঠনের সদস্য মামুন মিয়াজীর দীর্ঘ চেষ্টায় রাজশাহীর কয়েকটা ফেইসবুক গ্রুপে তথ্য ও ছবি প্রকাশ করার কয়েক ঘন্টা পরে জনির পরিবারের সদস্যরা জনি কে চিনতে পেরে সহায় সংগঠনের সাথে যোগাযোগ রাখতে থাকে । আজ শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী থেকে জনির বাবা,মা,চাচাত ভাই রনি একটি মাইক্রোবাস নিয়ে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে এসে জনি কে দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা মা।
এর পরে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া ও সামাজিক সংগঠন সহায় এর সভাপতি মঞ্জিলা মিমির উপস্থিতিতে পরিবারের সদস্যদের কাছে জনি কে হস্তান্তর করা হয় ।
ডাক্তার জানায়, হামলার আঘাতে জনির মাথায়,চেহারা ও চোখে জখম হয়েছে কিছু দিন চিকিৎসা নিলে তা ঠিক হয়ে যাবে, তবে জনির কিছুটা মানসিক সমস্যা রয়েছে।