সংবাদদাতা :ফেনীতে বছরে কোটি টাকার গ্যাস অপচয় হচ্ছে নি¤œ বিত্ত কলোনী গুলোতে এর কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়- চমকপ্রদ তথ্য। দেখা যায় কলোনীগুলোতে প্রতিটি বৈধ গ্যাস লাইনে নিয়মিত রান্না হচ্ছে শতাধিক মানুষের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এসব কলোনীগুলোতে বসবাসকারী অধিকাংশ নারীই বুয়া বা আয়া শ্রেণির। যারা তাদের প্রতিটি চুলায় শহরে বসবাসকারী অসংখ্য শ্রমজীবি কিংবা কর্ম জীবী মানুষের খাদ্য সরবরাহ করছে এবং শহরের বিভিন্ন বেসরকারী অফিস সহ দিন মজুর শ্রেণির মানুষের কাছেও খাদ্য সরবরাহ করছে নিয়মিত। প্রতিটি চুলা একটি পরিবারের ব্যবহারের কথা থাকলে চুলাগুলো ব্যবহারিত হচ্ছে প্রায় শতাধিক মানুষের জন্য এবং আরো চমকপ্রদ বিষয় হলো এসব কলোনীর বুয়া শ্রেণির নারীরা শহরে ফুট পাতে পরিচালিত দোকানগুলোতে নিয়মিত খাওয়া রান্না করে ব্যবসায়ীকভাবে সরবরাহ করছে। এতে একদিকে যেমন বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় সম্পদ গ্যাসের অপব্যবহার হচ্ছে। অপরদিকে শহরের প্রতিষ্ঠিত সরকারী ট্রেড লাইসেন্সকৃত হোটেল রেস্তোরাগুলো বিপুল ব্যবসায়ীক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এসব ট্রেড লাইসেন্সকৃত হোটেলগুলো সরকারকে প্রায় ১২টি খাতে কর দিয়ে আসছে। যেমন- ইনকাম টেক্স, ফায়ার সার্ভিস, ড্রিলিং লাইসেন্স, পরিবেশ লাইসেন্স, কারখানা লাইসেন্স, ফুড লাইসেন্স, সেনেটারী লাইসেন্স ইত্যাদি।
ফলশ্রুতিতে সরকারের বিপুল পরিমাণ টেক্স আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে আরো দেখা যায় ফেনী শহরে এই জাতীয় কলোনীর সংখ্যা প্রায় ২ (দুই) শতাধিক এবং এগুলোতে বুয়া/আয়া শ্রেণির নারীর বসবাস প্রায় হাজারের ও অধিক। আর তাদের গ্যাস লাইনের দ্বারা প্রতিদিন রান্না হচ্ছে প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক মানুষের।
এমতাবস্থায় বিশিষ্ট জনদের অভিমত রাষ্ট্রীয় সম্পদ গ্যাসের এভাবে অপব্যবহার বন্ধ করা এখন সময়ের দাবী। অপরদিকে সমাজের সচেতনদের বক্তব্য হলো- এসব কলোনীগুলোতে রান্না করা খাবার গুলো অনেকাংশে অস্বাস্থ্যকর। যা শরীরের স্বাস্থ্যহানীর কারণ হতে পারে।
অবিলম্বে গ্যাসের অপ্য ব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন সংশিষ্ট কৃর্তপক্ষ।